বান্দার প্রতি আল্লাহ দয়া। Mercy of Allah.

*বান্দার প্রতি আল্লাহ দয়া*

বান্দার প্রতি আল্লাহ দয়া


✅বান্দার আরামের দিকে আল্লাহ্‌ পাক কতোটা লক্ষ্য রাখেন, তা এ হাদীসে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়:


📚হযরত আবদুল্লাহ বিন আরকাম (রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু) থেকে বর্নিত; তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* কে বলতে শুনিয়াছি যখন নামাজের ইকামত বলা হয় তখন যদি তোমাদের কারো ইস্তেনজা *(পেশাব বা পায়খানার)* বের হয়, তাহলে প্রথমে ইস্তেনজা সেরে নিবে। এর পর নামাজ আদায় করবে। এটা তিরমীযি শরিফের হাদীস। এই হাদীস খানা আবু দাউদ শরীফ, নাসাঈ শরীফেও আছে।


📘তো এ হাদীসে পাকে আল্লাহর রসুল *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলছেন--নামাজের ইকামত চলতেছে নামাজ এখন শুরু হয়ে যাবে। এই সময় যদি এমন হয় যে, কারো ইস্তেনজার (পেশাব বা পায়খানার) বের হয়েছে সেক্ষেত্রে নবীজী *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেছেন- আগে গিয়ে ইস্তেনজা সাড়ো, শরীর মন শান্ত হোক, এর পর আরামসে নামাজ পড়ো।


💐এ খানে বান্দার হকের দিকে, আরামের দিকে লক্ষ্য করা হয়েছে। নামাজ পড়া, এইটা তো আল্লাহ্ তাআ'লার হক। আল্লাহ্ তা'আলার এই হক টা যদি বান্দা এমন ভাবে আদায় করে, যখন তার ভিতরে এতমিনান নাই, দিল শান্ত না। পেশাব বা পায়খানার চাপ যদি যথেষ্ট থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে খুশু খুজু ধরে রাখা সম্ভব না। তো এই জন্য আল্লাহ্‌র রাসুল *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* এই হাদীসে পাকে এ শিক্ষা দিছেন। উম্মতকে বলছেন- এই ক্ষেত্রে আগে ইস্তেনজার জরুরত সারো। তোমার অন্তর মন শান্ত হোক, এর পর শান্ত ভাবে নামাজ পড়ো।


🔰তো এখানে বান্দার হকের দিকে লক্ষ্য করা হয়েছে, বান্দা তো খুব দূর্বল। সে কষ্ট সহ্য করতে পারে না। ইস্তেনজার এটাও একটা কষ্টকর বিষয়।


❇অনুরুপভাবে খাবার তৈরি হয়ে গেছে, এদিকে ক্ষুধাও খুব বেশি লেগেছে, এই অবস্থায় যদি নামাজ পড়া হয় তবে খুশু খুযু ধরে রাখা কঠিন হবে। এই ক্ষেত্রেও হাদীসে পাকে এসেছে, আগে খাবারটা খেয়ে নেওয়া এর পরে নামাজ পড়া।

বান্দার প্রতি আল্লাহ দয়া

✅তো আল্লাহ্‌ তা'আলা বান্দার হকের দিকে, বান্দার আরামের দিকে খুব লক্ষ্য রাখছেন। এই জন্য আমাদের বেশি করে শুকুরগুজারি করা দরকার। যে আল্লাহ্ পাক আমাদের আরামের দিকে এতটা লক্ষ্য রাখেন, সেই আল্লাহ্ পাকের হুকুম পালনের ক্ষেত্রে আপনি আমি কতোটা লক্ষ্য রাখি? একটু চিন্তা করি।

🔻যে আল্লাহ্ পাক আমাদের আরামের দিকে এতোটা লক্ষ্য রাখেন, সেই আল্লাহ পাকের হুকুম পালন না করা, তার নাফরমানী করা আমাদের জন্য কতটা শোভনীয়? একটু চিন্তা করি। আল্লাহ্‌ তা'আলাকে পাওয়ার জন্য খুব মুজাহাদা করা দরকার, চেষ্টা করা দরকার।


⭕গোণাহ মুক্ত জীবন গড়ার জন্য খুব চেষ্টা করা দরকার। সুন্নত মুতাবেক চলার জন্য খুব চেষ্টা করা দরকার। হায়াত তো সীমিতো, দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।


☝আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে আমল করার খুব তাওফিক দান করুন। (আমীন..!)🔚

বান্দার প্রতি আল্লাহ দয়া

Post a Comment

0 Comments