মুসলিম ব্যক্তির মধ্য ঝগড়া-বিবাদ হল করনীয়।

*মুসলিম ব্যক্তির মধ্য ঝগড়া-বিবাদ হল  করনীয়*

মুসলিম ব্যক্তির মধ্য ঝগড়া-বিবাদ হল  করনীয়


✅ এক মুসলমান ব্যাক্তি  আরেক মুসলমান ব্যাক্তির সাথে যদি তিন দিন কথা না বলে সে যেনো কাফির হয়ে যায় উক্তিটি শরিয়ত সম্মতো কি।

   

💐একজন মুসলিম আরেক মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিন কথা না বললে কাফির হয়ে যায় এই কথাটা শরীয়ত সম্মতো নয় তবে একজন আরেকজনের সাথে কথা না বলার ব্যাপারে হাদিসের মধ্যে এই ভাবে আলোচনা এসেছে। শরয়ী কোনো কারণ ছাড়া সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্পূর্ণ হারাম। মহান আল্লাহ্ তায়ালা আত্মীয়-স্বজনের হকের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা প্রদান করেন, ‘হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রভুকে ভয় করো। যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক আত্মা থেকে, আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আর ভয় করো রক্ত সম্পর্কিতো আত্মীয়ের ব্যাপারে, তাদের হক আদায় করে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের পর্যবেক্ষক। (সকল খবর জানেন)’-সূরা নিসা, আয়াত-০১)


💫আত্মার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে আত্মীয় বলা হয়। সাধারণতো রক্ত, বংশ কিংবা বৈবাহিক সূত্র থেকে আত্মীয়তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আবার অনেক সময় বন্ধুত্ব থেকেও আত্মীয়ের ন্যায় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা কোনো-কোনো ক্ষেত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ক থেকেও গভীর হয়ে থাকে। শরয়ী বিধান অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা হক বা অধিকার রয়েছে। তাদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব।


🌀আত্মীয়-স্বজনের হক সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ তায়ালা কোরআনের অন্যত্র বলেন, ‘তোমরা আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করে দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরের হকও আদায় করো। আর কোনোভাবেই অপোব্যয় করো না। নিশ্চয়ই অপোব্যয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার প্রতিপালকের খুবই অকৃতোজ্ঞ।’-(সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত-২৬-২৭)

মুসলিম ব্যক্তির মধ্য ঝগড়া-বিবাদ হল  করনীয়

📚হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো, তিনি বলেন- আমি নবী করীম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ‘যে লোক রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায় সে যেনো তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। (বুখারী হাদীস নং-৫৫৫৯)


✅আমরা অনেকেই সাধারণ বিষয় নিয়েও ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ রাখি। এমনকি অনেকে এভাবে রাগ করে সারাজীবন দেখা-সাক্ষাত, কথাবার্তা বন্ধ রাখে। অথচ এ ব্যাপারে হুজুর (সাঃ) স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতো, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন- ‘কোনো মুসলমানের জন্য তিন দিনের বেশি তার ভাইয়ের সাথে কথা বন্ধ রাখা জায়িজ নেই’। (মুসলিম, হাদীস নং-৬২৯৫)


🏵️তাই আসুন, আমরা আত্মীয়-স্বজনের অধিকারের প্রতি যত্নবান হই। পারস্পরিক বন্ধনকে আরো অটুট করি।🔚

মুসলিম ব্যক্তির মধ্য ঝগড়া-বিবাদ হল  করনীয়

Post a Comment

0 Comments