কবরের আজাব
*কবরের আজাব থেকে বাঁচার আমল ও ইবাদত*⬇
✅*১। প্রতিরাতে সুরাহ মুলক তিলায়াত করা (কুরআন দেখে দেখে বা মুখস্ত যে কোনো ভাবেই হোক)-
রাসূল (সাঃ) বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক- ৬৭ নাম্বার সুরা) পাঠ করবে এর মাধ্যমে আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। সাহাবায়ি কিরাম বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগে আমরা এ সুরাহ টিকে আল-মানি’আহ বলতাম। অর্থাৎ আমরা একে “কবরের আযাব থেকে প্রতিরোধকারী ” হিসেবে নামকরণ করেছিলাম। সুরাহ মূলক মহান আল্লাহর কিতাবের এমন একটি সুরাহ, যে ব্যাক্তি এটি প্রতি রাতেই পাঠ করে সে অধিক করলো এবং অতি উত্তম কাজ করলো। ”( আলবানী বলেন, হাদীসটি হাসান সহিহ। দ্র: সহীহ তারগীব ও তারহীব, হা/ ১৪৭৫ ও ১৪৭৬)⏬
কবরের আজাব
✅*২- প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা- “আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা- আয়াত ২৫৫) পাঠ করবে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে। (নাসাই, সহীহ জামে’ ৫/৩৩৯, সিলসিলাহ সহীহাহ্ ৯৭২)
[যে ব্যক্তি মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতবাসী হবে তার তোঁ কবরের আজাব, জাহান্নামের শাস্তি এগুলোর প্রশ্নই আসে না] যারা ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে এটা তাদের জন্য মহা সুসংবাদ আর যারা ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে না তাদের সম্পর্কে জেনে নিন রাসুল (সাঃ) কি বলেছেন- নবী (সাঃ) বলেনঃ আমাদের মাঝে আর অমুসলিমদের মাঝে চুক্তি হলো সলাত, যে ব্যক্তি সলাত ছেড়ে দিলো সে কাফের হয়ে যাবে। (মুসনাদে আহমাদ হাদিস সহিহ/ ২১৮৫৯) সকলের প্রতি অনুরোধ থাকলো আজ থেকেই ৫ অয়াক্ত সলাত আদায় করুন, না হলে পরিণাম বরোই খারাপ।⏬
কবরের আজাব
✅*৩। সহিহ শুদ্ধ যিকির বেশি বেশি পাঠ করা-
“জাবির (রাঃ) হতে নবী (সাঃ) সুত্রে বর্ণিতো, “মহান আল্লাহর যিকিরের চাইতে অন্য কোনো আমল কবরের আযাব থেকে অধিক নাজাতকারী নেই। জিজ্ঞেস করা হলো , আল্লাহর পথে জিহাদও নয় কি ? তিনি (সাঃ) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ ও নয় ,তবে কেউ এরূপ বীরত্তের সাথে লড়াই করে যে, তরবারী চালাতে চালাতে এক পর্যায়ে তা ভেঙ্গে যায় তার কথা ভিন্ন। ”(ত্বাবারানী, আলবানি হাসান সহিহ বলেছেন- সহীহ আত-তারগীব হাদিস- ১৪৯৭)
🌙সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়া লাকুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহ, সুবহানাল্লহিল আ’যিম ওয়া বিহামদিহ, আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়ানা মুহাম্মাদ, আস্তাগফিরুল্লহা ওয়া আতুউবু ইলাইহি।
কবরের আজাব
🌷এভাবে পড়তে পারেন তাহলে তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া, দরুদ, তওবা এস্তেগফার সব একসাথে আদায় হয়ে যাবে। অবসর বা কাজের সময়েও আপনি মুখে সবসময় এগুলো পড়তে থাকুন।⏬
✅*৪। আল্লাহর পথে বেশি বেশি দান করা- “ওকবা ইবনু আমের (রাঃ) হতে বর্ণিতো তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই দান কবরের শাস্তিকে মিটিয়ে দেয় এবং কিয়ামতের দিন মুমিন তার দানের ছায়াতলে ছায়া গ্রহণ করবে”। (সিলসিলাহ সহীহাহ হাদিস- ১৮১৬, ৩৪৮৪)
💸দুইভাবে দান করতে পারেন💸
✳১- আপনি যে চাকরি বা বেবসা বা সৎপথে যেভাবেই উপার্জন করেন তার একটা নির্দিষ্ট persent দানের জন্য নির্ধারিতো করুন হতে পারে আয়ের ৫% বা ১০% বা ২০% ইত্যাদি
✴২- অথবা প্রতিদিন কিছু টাকা আলাদা করে একটা জায়গায় জমা রাখুন, যখন অনেক টাকা হয়ে যাবে তখন সেটা গরিবদুঃখী, মিসকিন, অসহায় বিধবা মহিলা, অনাথ এতিম বা মসজিদে বা মাদ্রাসায় দান করুন এতে আপনি প্রতিদিনের দান করার সওয়াব পাবেন আর এই আমলগুলো করার মাধৌমেই আমরা কবরের আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারি *ইন শা আল্লাহ।🔚
কবরের আজাব
0 Comments