🌺*সন্তান বিপথে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার:🍁👇⬇👇 🌹🆗🌹
💫সন্তান আমাদের হৃদয়ছেড়া অংশ। দুনিয়ার জীবনে আমাদের জীবনের সর্বস্ব সন্তানের ভালোবাসার জন্য বিলিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করি না। কিন্তু আমাদের এ সন্তান যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন আর আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। সমাজে প্রতিনিয়তো যে কিশোর অপোরাধ সহ তরুণদের দ্বারা বিভিন্ন অপোরাধ সংঘটিতো হচ্ছে এর প্রধান কারণ সন্তানদের ইসলামি বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রতিপালন না করা।
🌺আমার আপনার সন্তান দুনিয়ার জীবনে মানুষের মতো মানুষ হয়ে আখিরাতে কামিয়াব হতে এজন্য ইসলাম সুস্পষ্টরূপে বিধান দিয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন--⤵
✳*(তরজমা)* “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো অগ্নি হতে"। *[সুরা তাহরীম, আয়াত:৮]
📗এই আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে--⤵
✅*১)* আয়াতে সাধারণ মুসলিমদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষা করো। অতঃপর জাহান্নামের অগ্নির ভয়াবহতা উল্লেখ করে অবোশেষে এ কথাও বলা হয়েছে যে, যারা জাহান্নামের যোগ্য পাত্র হবে, তারা কোনো শক্তি, দলবল, খোশামোদ অথবা ঘুষের মাধ্যমে জাহান্নামে নিয়োজিতো কঠোরপ্রাণ ফেরেশতাদের কবল থেকে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হবে না। এই ফেরেশতাদের নাম যাবানিয়া’। এ আয়াত থেকে প্রকাশ পায় যে, আল্লাহর আযাব থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রচেষ্টা চালানোর মধ্যেই কোনো মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য সীমাবদ্ধ নয়। বরং যে পরিবারটির নেতৃত্বের বোঝা তার কাঁধে স্থাপন করেছে তার সদস্যরা যাতে আল্লাহর প্রিয় মানুষরূপে গড়ে উঠতে পারে সাধ্যমতো সে শিক্ষা দেওয়াও তার কাজ। রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন--⤵
✳*তরজমা:* “তোমরা প্রত্যেকেই রাখাল বা দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককেই তাঁর অধীনস্থ লোকদের সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। শাসকও রাখাল বা দায়িত্বশীল, তাকে তাঁর অধীনস্থ লোকদের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। নারী তার স্বামীর বাড়ী এবং তাঁর সন্তান-সন্ততির তত্ত্বাবধায়িকা, তাকে তাদের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।” *[বুখারী: ৮৯৩, ৫১৮৮]
✅*২)* এর উপায় এই যে, আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদেরকে যেসব কাজ করতে নিষেধ করেছেন, তোমরা তাদেরকে সেসব কাজ করতে নিষেধ করো এবং যেসব কাজ করতে আদেশ করেছেন, তোমরা পরিবার-পরিজনকেও সেগুলো করতে আদেশ করো। এই কর্মপন্থা তাদেরকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষা করতে পারবে। *(ইবনে কাসীর)
📚হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন--“আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে রহমত করুন, যে নিজে রাতে সালাত আদায় করতে দাঁড়িয়েছে, এবং তার স্ত্রীকে জাগিয়েছে, সে যদি দাঁড়াতে অস্বীকার করে তার মুখে পানি ছিটিয়েছে। আল্লাহ ঐ মহিলাকেও রহমত করুন যে, নিজে রাতে সালাত আদায় করতে দাঁড়িয়েছে এবং তার স্বামীকে জাগিয়েছে, যদি সে দাঁড়াতে অস্বীকার করে তার মুখে পানি ছিটিয়েছে।” *[আবু দাউদ: ১৪৫০, ইবনে মাজা: ১৩৩৬]
📚হাদীসে আরও এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-- “তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সালাতের জন্য সাত বছর বয়সে পৌঁছালেই নির্দেশ দাও, আর তাদেরকে দশ বছর হলে এর জন্য দণ্ড দাও। আর তাদের শোয়ার জায়গা পৃথক করে দাও"। *[আবু দাউদ: ৪৯৫, মুসনাদে আহমাদ: ২/১৮০]
💐অনুরূপভাবে পরিবার পরিজনকে সালাতের সময়, সাওমের সময় হলে স্মরণ করিয়ে দেওয়াও এর অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই বিতর পড়তেন তখনি আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আ'নহা) কে ডাকতেন এবং বলতেন- “হে আয়েশা! দাঁড়াও এবং বিতর আদায় করো।” *[সহীহ মুসলিম, ৭৪৪, মুসনাদে আহমাদ: ৬/১৫২](তাফসীরে যাকারিয়া)
🌻ছোটোবেলা থেকে বাবারা সন্তানদের মসজিদে নিয়ে আসবেন। নবী-রাসুল সাহাবীদের জীবোনীর শিক্ষণীয় ঘটনা তাদের মাঝে আলোচনা করে শুনাতে হবে।অনেক বাবা-মাই এই ভুল করেন সন্তানকে শৈশবে ইসলামের শিক্ষা দেন না।পরবর্তী সময়ে বড়ো হয়ে গেলে সন্তানকে হাজার চেষ্টা করেও ইসলামের বিধানের দিকে মনোযোগী করা যায় না। কেনোনা সন্তানের শৈশবের শিক্ষাটা হচ্ছে কাদামাটির মতো এইসময়ে তাদের যেভাবেই গড়ে তোলা হয় ভবিষ্যৎ এ এভাবেই গড়ে উঠে।
🌷অসৎ বন্ধুবান্ধবের পাল্লায় পড়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কখন কার সাথে আমার আপনার সন্তান মিশছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
📱স্মার্টফোনের ব্যাবহার আমাদের দেশে কিশোর-কিশোরীদের হাতে লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম নষ্ট হওয়ার একটি কারণ স্মার্টফোন। তাই আমাদের সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন দেওয়া যাবে না।দিলেও কখন কীভাবে স্মার্টফোনের ব্যাবহার করছে সেদিকে নজর রাখতে হবে কঠোরভাবে।
☝আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে বুঝার ও মানার আমল করার তাওফীক দান করেন। (আমীন..!)🔚
0 Comments