🔴✅ *লাইলাতুল ক্বদরের রাত বা শবে ক্বদর
✅ আয়েশা(রা) নবী(স)কে কদরের রাতে কি দুয়া পড়বে জিজ্ঞেস করলে নবী(স)বলেনঃ
*আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ'ফুউন তুহিব্বুল আ'ফওয়া ফাআ'ফু আ'ন্নী।*
(তিরমিযী, ইবনু মাজাহ )
(اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفُ عني
উক্ত দোয়াটি বেশী বেশী পড়বেন।
1⃣✅ ১০০ বার *আস্তাগফিরুল্লাহ* পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া (মুস্লিম,তিরমিজী)। নবী(স) দিনে ৭০ বা ১০০ বার পড়তেন।
2⃣✅ ৩ বার *সূরা ইখলাস* পড়লে ১খতম কুরআন পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
Sabe Kador
3️⃣✅ ১০০ বার
*"সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি"*
(পড়িলে গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়, তা সাগরের ফেনারাশির সমপর্যায় হলেও।(তিরমিজী-৩৪৬৬)
( *سُبحَانَ اللّهِ وَ بِحَمْدِهِ ، سُبحَانَ اللّهِ الْعَظِيمِ*
4️⃣✅ ১০ বার পড়িলে
*"লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আ'লা কুল্লি শাইইন ক্বদির!"*
*لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحَدْهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير*ٌ
(১০ বার পড়িলে সে ব্যক্তি ইসমাইলের বংশধরের চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব লাভ করবে।” (বুখারী-মুসলিম)
আবার যদি কেউ ১০০ বার *লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আ'লা কুল্লি শাইইন ক্বদির!"*
১০০ বার পড়ে তাহলে " সে একশ গোলাম আযাদ করার সাওয়াব অর্জন করবে এবং তার জন্য ১০০টি নেকী লেখা হবে, আর তার ১০০টি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে। আর সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এটা তার জন্য রক্ষা কবচে পরিণত হবে এবং তার চাইতে বেশী ফযীলত ওয়ালা আমল আর কারো হবে না,তবে যে ব্যাক্তি এ আমল তার চাইতেও বেশী করবে সে ছাড়া। (বুখারী ৫৯৬১)।
5️⃣✅ যে ব্যক্তি দিনে সকালে ১ বার দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ সায়্যিদুল ইসতিগফার
*আল্লাহুম্মা আন্তা রব্বি লাইলাহা ইল্লা আন্ত,খালাক্বতানি ওয়া আনা আ'ব্দুক ওয়া আনা আ'লা আ'হদিকা ওয়া ওয়া'দিকা মাসতাতা'ত, আও'যু বিকা মিন শাররিমা সনায়া'ত, আবুওলাকা বিনি'মতিকা আলাই, ওয়া আবুওলাকা বিযাম্বি ফাগ্ ফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আন্ত* ১ বার পড়বে আর সন্ধ্যা হবার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে প্রথম ভাগে দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ দু‘আ ১ বার পড়ে নেবে আর সে ভোর হবার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে। (সহীহ বুখারী ৬৩০৬) আরবী দেখে পড়লে শুদ্ধ
হবে।
*اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّه“ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْت*
6️⃣✅ *"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"* -নবী(সঃ) বলেছেন, যে লোক ইহা ১০ বার পড়বে সে ঐ লোকের সমান হয়ে যাবে, যে লোক ইসমাঈল (আঃ)- এর বংশ থেকে একটা গোলাম মুক্ত করে দিয়েছে।
(সহীহ বুখারী -৬৪০৪)
*লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ* বেশী পড়তে পারেন, এটা সর্বোত্তম জিকির, ৭আসমান ও জমিন এক পাল্লায় রাখলে আর অন্যদিকে এই কালিমা এক পাল্লায় রাখলে এর ওজন ভারী হবে।
7️⃣ ✅ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায়
*সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি* ১০০ বার পাঠ করবে, কিয়ামতের দিনে ওর চাইতে উত্তম আমল কেউ আনতে পারবে না। কিন্তু যদি কেউ তার সমান বা তার থেকে বেশি সংখ্যায় ঐ তাসবীহ পাঠ করে থাকে (তাহলে ভিন্ন কথা)।” (তিরমিজি ৩৪৬৯)
8️⃣:✅ নবী (স) বলেছেন, “দু’টি কলেমা (বাক্য) রয়েছে, যে দু’টি দয়াময় আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়, জবানে (উচ্চারণে) খুবই সহজ, *আমলের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী।* তা হচ্ছে, *‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী, সুবহানাল্লা হিল আ'যীম।’* অর্থাৎ আমরা আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র।”(সহীহুল বুখারী ৬৪০৬, মুসলিম ২৬৯৪)
9️⃣✅... নবী (স)বললেন আমি কি তোমাকে এমন একটি বস্তুর সন্ধান দেব না যে বাক্যটি *জান্নাতের রত্ন ভান্ডার?* সেটি থেকে একটি রত্নভাণ্ডার হল *লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।* --- বেশী বেশী পড়তে পারেন।
🔟 ✅ ১০০ বার *সুবহানাল্লাহ* পড়া ...নবী(স) বললেন, সে একশ’ তাসবীহ ( *সুবহানাল্লাহ*) পাঠ করলে তার জন্যে এক হাজার পুণ্য লিখিত হবে এবং তার (আমলনামা) হতে ১,০০০ (এক হাজার) পাপ মুছে দেয়া হবে। (মুসলিম ৬৭৪৫)
1⃣1️⃣ ✅ *‘‘লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যোয়া-লিমীন’’* অর্থাৎ- ‘‘তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তুমি পবিত্র, আমি হচ্ছি যালিম বা অত্যাচারী অপরাধী’’- (সূরা ইউনুস ১০ : ৮৭)।
*যে কোন মুসলিমই যে কোন ব্যাপারে এ দু‘আ পাঠ করবে, তার দু‘আ নিশ্চয়ই গৃহীত হবে।* (তিরমিযী ৩৫০)
1⃣2️⃣ ✅ *‘‘সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’’* প্রতিবারে বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাতে একটি করে গাছ রোপিত হবে।
(সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান)। (ইবনে মাজাহ 3807)
1⃣3️⃣ 🔰 *যে ব্যক্তি রাত্রে সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত) পাঠ করবে তা সে ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।* (আবু দাউদ ১২৬৩)
শবে কদরের রাত
1⃣4️⃣ 🔰 *সুরা মুলক (৬৭ নং সুরা) প্রতি রাতে পাঠ করলে আশা করা যায় যে,তা তিলাওয়াতকারীর জন্য কিয়ামতের দিন শাফা‘আত/সুপারিশ করবে, শেষে তাকে ক্ষমা করা হবে এবং ও কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে* (তিরমিযী, আবূ দাউদ,ইবনে মাজা)
1⃣5️⃣ 🦀 সৃষ্টির খারাবী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকালে ও সন্ধ্যায় ১ বার করে পাঠ করাঃ
এক লোক নাবী (সঃ)এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! গত রাতে একটি বিছু আমাকে দংশন করার কারণে আমি বড় কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, যদি তুমি সন্ধ্যায় এ দু’আটি পড়তে *"আউযু বিকালিমাতিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা- খ্বলাক্ব"*
( *أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ)*
অৰ্থাৎ- ‘আমি পূর্ণাঙ্গ কালিমাহ দ্বারা আল্লাহর নিকট তার সৃষ্টির খারাবী থেকে পানাহ চাই’। তাহলে সে তোমাকে ক্ষতি করতে পারত না/ মুসলিম ৬৭৭৩
শবে কদরের রাত
1⃣6️⃣ ✳ *বেশী বেশী দরুদ পড়া* ( চিন্তা,পেরেশানি দূর হবে ও গুনাহ মাফ হবে। (তিরমিযী)
💚 *জিকির কিভাবে করবেন?*
➡ *আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অনুচ্চস্বরে (বড় আওয়াজে নয়) সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকে না* (আল আরাফ - ২০৫)
⚠
*তাহলে বুঝা গেল সম্মিলিতভাবে উচু আওয়াজে তাড়াহুড়ো করে ভুল উচ্চারণে লাফিয়ে ঝাপিয়ে/মাথা ঝাকুনি দিয়ে/নিশ্বাসের ঝাকুনি দিয়ে জিকির করা যাবে না। এভাবে কোন সাহাবা (রা:) রাও জিকির করেন নাই এবং নবী (স:) ও এভাবে পাগলা জিকিরের নির্দেশ দেন নাই এবং আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের কোয়ালিটি দেখবেন, কোয়ান্টিটি বা বাড়াবাড়ি নিজস্ব বানানো কোন জিকির দেখবেন না, যা জিকির করবেন শুদ্ধ করে করবেন ও শুদ্ধভাবে পড়বেন।*
🤲আল্লাহ্ সকলকে 👆উক্ত আমলগুলো বেশি বেশি করার তাওফীক প্রদান করুক,,আমীন।
শবে কদরের রাত
0 Comments