*কুফরি কিছু কথা*
কুফরী করছেন না তো আপনি
⭕যে ধরনের কথা বলার কারনে আপনি নিজের অজান্তেই কুফরি করে ফেলছেনঃ
✅(১) কি ব্যাপার, দাড়ি রেখেছিস যে.? দেখতে তো পুরো ছাগলের মতো লাগতেছে, তাড়াতাড়ি ফেলো এগুলো।
✅(২) মাদ্রাসায় পড়ে কী করবি? মাদ্রাসায় পড়লে কি তোর ভাত মিলবে? বাদদে এসব পড়া।
✅(৩) কিরে, আবার তো দেখছি টুপি পরেছিস? টুপির নিচে শয়তান থাকে জানিস না...?
✅(৪) মুসলমান জাতটাই খারাপ। এদের চেয়ে বিধর্মী ইহুদী-খৃষ্টান ও হিন্দুরা অনেক ভালো।
✅(৫) কিরে তুই আবার কবে থেকে বোরকাওয়ালী হইলী?
বোরকা-টোরকা পরে একে বারে ভূত হয়ে গেছিস বোরকাওয়ালীরাই আরো বেশি খারাপ হয় এইটা এখনো জানিস না?
✅(৬) রাখ তোর পর্দা! এতো পর্দা পর্দা করিস না। পর্দা পর্দা করার কারনে তো আজ মুসলমান জাতি এতো পিছিয়ে, আর ইউরোপ-আমেরিকার মেয়ে কতো এগিয়ে গেছে। আমরা পর্দা না করলে কী হবে, আমরা কি মুসলমান না? মনের পর্দা-ই বড়ো পর্দা।
✅(৭) আরে বাদ-দে মোল্লাদের কথা। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ওরা কি বুঝে? নিজেরা খালি ফতোয়া তৈরি করে।
✅(৮) কে বলেছে সুদ হারাম? হারাম হলে সারা দুনিয়ার মানুষ এটা খাইতো? সুদ কোনো খারাপ জিনিস না। এটা ব্যবসার মতো লাভ। সুদ খারাপ জিনিস হইলে কি ইউরোপ-আমেরিকা এতো উন্নত হইতে পারতো!!!
✅(৯) কেউ বললো, কিরে রোযা রেখেছিস..? উত্তরে সে বললো বাদ-দে রোযা। রোযা
রাখে যাদের ঘরে ভাত নেই তারা।
✅(১০) সব জায়গায় এতো ইসলাম ইসলাম করিস না, ইত্যাদি, ইত্যাদি...এরূপ আরো অনেক কুফরী কথা মুসলিম সমাজে চালু আছে, যা তাদের ঈমানকে
তাদের অজান্তেই ধ্বংস করে দিচ্ছে।
✅কিন্তু মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
"(হে নবী) তুমি বলো, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা- বিদ্রূপ করছিলে? ছলনা করো না, তোমরা যে কাফের হয়ে গেছো ঈমান প্রকাশ করার পর। (সুরা তাওবাঃ ৬৫-৬৬)।
❇অতএব এ ব্যাপার সকলকে সাবধান থাকতে হবে। খবরদার কখনো মুখে বা অন্তরে যেনো এ ধরনের কোনো কথা না আসে। এভাবে যেনো আমরা আমাদের ঈমান নষ্ট না করি।
☝আল্লাহ তা'আলা আমাদের হেদায়াত দান করুন। (আমীন।)🔚
0 Comments