জয় শ্রীরাম বলা যাবে কি।Jay Shiriram.

*জয় শ্রীরাম,জয় হনুমান *

জয় শ্রীরাম


🔻অমুসলিমরা মুসলিমদেরকে ‘জয় শ্রীরাম’ ‘জয় হনুমান' ইত্যাদি বাক্য বলতে বাধ্য করে তাহলে করণীয়⬇️


🌎বর্তমানে কারো অজানা নয় যে, কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু নির্লজ্জভাবে প্রকাশ্যে মুসলিমদেরকে ‘জয় শ্রীরাম', ‘জয় হনুমান'বলতে বাধ্য করছে। কোনো মুসলিম তাদের কথা না শুনলে অথবা তাদের কথা অনুযায়ী এ সব বাক্য উচ্চারণ করার পরও তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। উগ্র হিন্দুরা যদি মুসলিমদেরকে 'জয় শ্রীরাম', ‘জয় হনুমান' ইত্যাদি বাক্য বলতে বাধ্য করে অর্থাৎ জোর করে এ সকল বাক্য উচ্চারণ করতে বলে আর না করলে জুলুম অত্যাচার করার আশঙ্কা থাকে তাহলে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি ও জুলুম-অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য অন্তরে ঈমান ঠিক রেখে মুখে এ সকল বাক্য উচ্চারণ করায় কোনো আপত্তি নাই। এতে করে তার ঈমানে কোনো প্রভাব ফেলবে না ইনশাআল্লাহ।

জয় শ্রীরাম

এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন:


 مَن كَفَرَ بِاللَّـهِ مِن بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَـٰكِن مَّن شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِّنَ اللَّـهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ 


"যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর ঈমান (বিশ্বাস) এর উপর অটল থাকে সে ব্যতীতো যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরির জন্য মন উন্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিতো হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।" (সূরা আন নহল: ১০৬)

Joy shiriram

📘তাফসীরকারকগণ বলেন, উক্ত আয়াতটি প্রখ্যাত সাহাবী আম্মার বিন ইয়াসার (রাঃ) কে কেন্দ্র করে অবতীর্ণ হয়। হাদিসে বর্ণিতো হয়েছে: “মুশরিকরা একবার আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) কে ধরেছিলো এবং তারা জবরদস্তি করে তাদের দেবদেবীর প্রশংসা করতে এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দিতে। তারা এমন বল প্রয়োগ করে যে, আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করে। অতঃপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে আম্মার (রাঃ) সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন।

অত;পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন যে ‘তুমি মনের মধ্যে কেমন অনুভব করেছিলে’? আম্মার (রাঃ) বললেন: ‘ঈমানের প্রতি আমার মনে পূর্ণ আস্থা ছিলো’। এতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন ‘যদি মুশরিকরা তোমাকে আবার এই রকম বলতে বলে তবে তুমি আবার বলো’। অতঃপর উপরোক্ত আয়াত নাজিল হলো”। (তাফসিরে দুররুল মানসুর)।

জয় শ্রীরাম

📘প্রখ্যাতো তাফসীর বিদ আবু বকর আল জাসসাস বলেন:


هذا أصل في جواز إظهار كلمة الكفر في حال الإكراه


বাধ্যতামূলকভাবে কুফরি বাক্য উচ্চারণ জায়েয হওয়ার পক্ষে এই আয়াতটি মূল দলিল।(আহকামুল কুরআন ৩/১৯২)


☝মহান আল্লাহ তাআলা ভারত সহ পৃথিবীর সর্বত্র মুসলিমদেরকে সকল অন্যায়-অত্যাচার থেকে হেফাজত করুন।🔚

Joy shiriram


Post a Comment

0 Comments