জিবনের কিছু শ্রেষ্ঠ ও কঠিন উপদেশ।Advice your personal life.

*জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ  উপদেশ *



*আপনার জিবনে কিছু শ্রেষ্ঠ ও কঠিন উপদেশ*


নামাজ পড়ছেন না? পারবেন তো খেতে পুজ, নিকৃষ্ট গরম পানীয়? অনুভব করুন সেই দিন গুলোর কথা।


🔥"তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তা কতোই না নিকৃষ্ট স্থান। সে আস্বাদন করুক- গাসসাক্ব (পুঁজ) এবং হামিম (গরম পানি)-এর স্বাদ এবং একই আকৃতির আরও অনেক।’ (সূরা সোয়াদ: ৫৫-৫৮)


যিনা করছেন? সহ্য করতে পারবেন তো কবরের আজাব? কেমন লাগবে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পেটালে? ভেবে দেখেছেন?


🔥"তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। তখন সে বিকট শব্দে চিৎকার করবে, যা মানব-দানব ছাড়া আশপাশের সব কিছু শুনতে পাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৩৩৮)


🌺গার্ল্ফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের সাথে রাত জেগে মধুর ফোনালাপ করছে? রাত জেগে তাকে নিয়ে কল্পনার সাগরে ডুব দিচ্ছেন? পারবেন তো আগুনের খাবার খেতে? টেনে হিঁচড়ে যখন জাহান্নামে নেওয়া হবে কেমন লাগবে?


🔥"সেদিন তাদের মুখ হেঁচড়ে টেনে নেয়া হবে সাকারে (ঝলসানীয় আগুনে), বলা হবে- অগ্নির খাদ্য আস্বাদন করো।’ (সুরা কামার : আয়াত ৪৮)


🎧ইয়ারফোন কানে ঢুকিয়েই ঘুমিয়ে যান? গান বাজনা আর নাটক সিনেমা নিয়েই অধিকাংশ সময় কাটচ্ছেন যদিও জানেন এগুলো হারাম, তবুও মন মানেনা। যখন আগুনের মধ্য ফেলা হবে আর আপনার শরীরের চামড়া উঠে যাবে, আবার নতুন চামড়া আল্লাহ দিয়ে দেবে শাস্তি প্রখর করতে কেমন লাগবে তখন ফিল করেছেন?


🔥"নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি, যা চামড়া তুলে দিবে। (সুরা মাআ’রিজ: আয়াত ১৫-১৭)


🌴মানুষকে আঘাত দিয়ে কথা বলেন? খোচা মারেন? অপমানিত করতে, মানুষের সামনেই অন্যকে লজ্জিত করতে ভালো লাগে? এরাই হলো হুমাযাতিল লুমাযাহ"ভেবে দেখুন সেই কঠিন আগুনের কথা


🔥"কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি? এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।’ (সুরা হুমাযাহ : আয়াত ৪-৬)


জেনেও খারাপ কাজ করছেন, যেগুলো জানেন আপনি ভুল করছেন, তবুও ছাড়তে পারছেন না, সেগুলো করার আগে একবার ভাবুন এতো কঠিন আজাব এতো কষ্ট শুধু একদিন না, দুনিয়ার আগুনের চেয়ে ৭০ গুন ভয়াবহ সেই আগুনে সারাজীবন আপনাকে পোড়ানো হবে আজাব দেয়া হবে। পারবেন সহ্য করতে?


🔥"সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪)


🌠তবে হ্যাঁ মানুষ মাত্রই ভুল কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই মানব মন মন্দকর্ম প্রবণ।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত : ৫৩)।


❇কিন্ত আমাদের জন্য সুখবর, সসংবাদ, আশার আলো, মহান রব্বুল আল আমিন যতো টা কঠোর ঠিক ততটাই দয়ালু। আপনি ভুল করে তার পথে ফিরে আসলেই আপনার উপর তিনি বেশি খুশি, ক্ষমা করে দেবেন আপনার গুনাহ। আপনার গুনাহ পাহাড় সমান? তবে আমার আল্লাহর দয়া আকাশ সমান। তাওবা করুন ক্ষমা চান, তাকে ডাকলেই তিনি সাড়া দেবেন।


✅যারা তাওবা করে, ইমান আনে এবং ভালো কাজ করে, আল্লাহতায়ালা তাদের খারাপ কাজগুলোকে ভালো কাজে পরিণত করে দেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর যারা তওবা করে এবং নেক কাজ করে আল্লাহর প্রতি তাদের তাওবা-ই সত্যিকারের তাওবা।’ (সূরা ফুরকান, আয়াত : ৭০-৭১)🔚


Post a Comment

0 Comments