ফজরের নামাজের উপকারিতা
📕ফজরের নামাজের ১০ উপকারিতা:📕*⬇
✅১... রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
👪যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ইশার স্বলাত আদায় করলো সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো...আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো...সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো (মুসলিম: 656)।
✅২...রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
👪যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল...সে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেল...অতএব আল্লাহ যেন তার জিম্মার বিষয়ে তোমাদেরকে কোনোরূপ অভিযুক্ত না করেন... (তিরমিযি: ২১৮৪)।
ফজরের নামাজের উপকারিতা
✅৩...রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
🌓যারা আঁধারে (ফজরের নামাজে) মসজিদের দিকে হেঁটে যায়...তাদের কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও... (তিরমিযি:223)।
✅৪...রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
👪যে ব্যক্তি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে (অর্থাৎ ফজরের ও আসরের নামাজ) আদায় করবে...সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না...(মুসলিম-1322)।
ফজরের নামাজের উপকারিতা
✅৫... রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
😈মুনাফিকদের উপর ফজর ও এশার নামাজ অপেক্ষা ভারী নামাজ আর নেই...যদি তারা এর ফজিলত ও গুরুত্ব জানতো...তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে বা পাছার ভরে অবশ্যই (মসজিদে) উপস্থিত হত...(বুখারি-615)।
✅৬... রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
👪তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে...তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়...যারা রাতের কর্তব্যেরত ছিল তারা ওপরে উঠে যায়।
☝আল্লাহ তো সব জানেন...তবুও ফেরেশতাদেরকে প্রশ্ন করেন...আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে এলে? ফেরেশতারা বলে...আমরা তাদেরকে নামাজরত রেখে এসেছি...যখন গিয়েছিলাম; তখনও তারা নামাজরত ছিল (বুখারি-7429)।
✅৭... রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
🌘ফজরের দুই রাকাত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে...সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ..(মুসলিম-1574)।
✅৮... রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
👪যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায়ের পর বসে আল্লাহর যিকিরে মশগুল থেকে সূর্য উদয় হওয়ার পর দুই রাকাত নফল নামাজ (ইশরাক) আদায় করবে...সে পরিপূর্ণ এক হজ্জ ও ওমরার সওয়াব লাভ করবে..(তিরমিযি-586)।
ফজরের নামাজের উপকারিতা
✅৯... রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন...
👪যারা ফজরের নামাজের জামাআতে হাযির হয়...(নামাজ শেষে) সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহ তা'আলার যিকির করতে থাকে...তারাই অল্প সময়ের মধ্যে উত্তম গণিমতসহ প্রত্যাবর্তনকারী..(তিরমিযি- ৩৬৪১)।
✅১০ এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে ছিলাম...হঠাৎ তিনি পূর্ণিমার রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন..
নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে তেমনি স্পষ্ট দেখতে পাবে...যেমন স্পষ্ট ঐ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ...তাঁকে দেখতে তোমরা কোনো ভিড়ের সম্মুখীন হবে না।
👪কাজেই তোমরা যদি সূর্য উঠার আগের নামাজ ও সূর্য ডুবার আগের নামাজ আদায়ে সমর্থ হও...তাহলে তাই কর...তারপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন "সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনি আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার তাসবীহ পাঠ করুন".....(বুখারি-৫৭৩)🔚
ফজরের নামাজের উপকারিতা
0 Comments