নারীরা কিভাবে পরপুরুষের সাথে কথা বলবে?How women will treat men later?

 


💞*নারীরা কিভাবে পর পুরুষের সাথে কথা বলবে💞👇⬇👇 🌹🆗🌹


يٰنِسَآءَ النَّبِىِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ ۚ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِى فِى قَلْبِهِۦ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا


"হে নবী-পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মতো নও; 


✳[১] যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়।


✴[২] আর তোমরা সদালাপ করো। (স্বাভাবিকভাবে কথা বলো।)


✳[৩] (সুরা আল-আহযাব : ৩৩/৩২)


✅[১] অর্থাৎ, তোমাদের বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা সাধারণ নারীদের মতো নয়; বরং আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে রসূল-পত্নী হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন, যার ফলে তোমরা এক উচ্চস্থান ও মর্যাদার অধিকারিণী, তাই রসূল (সাঃ)-এর মতো তোমাদেরকেও উম্মতের জন্য আদর্শবতী হতে হবে। এখানে নবী-পত্নীগণকে তাঁদের উচ্চস্থান ও মর্যাদার কথা স্মরণ করিয়ে তাঁদেরকে কিছু নির্দেশ দান করা হচ্ছে। এ সব নির্দেশাবলীতে সম্বোধন যদিও পবিত্রা স্ত্রীগণকে করা হয়েছে, যাঁদের প্রত্যেককে 'উম্মুল মু'মিনীন' (মু'মিনদের মাতা) বলা হয়েছে, তবুও বর্ণনা ভঙ্গীতে প্রকাশ পাচ্ছে যে, উদ্দেশ্য সমগ্র মুসলিম নারীকে বোঝানো ও সতর্ক করা। অতএব উক্ত নির্দেশাবলী সমগ্র মুসলিম নারীর জন্য মান্য ও পালনীয়।


✅[২] আল্লাহ তাআলা যেরূপভাবে নারী জাতির দেহ-বৈচিত্রে পুরুষের জন্য যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন (যা থেকে হেফাযতের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে নারী পুরুষের জন্য ফেতনার কারণ না হয়ে পড়ে।) অনুরূপভাবে তিনি নারীদের কণ্ঠস্বরেও প্রকৃতিগতোভাবে মন কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা, কোমলতা ও মধুরতা রেখেছেন, যা পুরুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে থাকে। সুতরাং সেই কণ্ঠস্বর ব্যাবহার করার ব্যাপারেও এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, পরপুরুষের সাথে বাক্যালাপের সময় ইচ্ছাপূর্বক এমন কণ্ঠ ব্যাবহার করবে, যাতে কোমলতা ও মধুরতার পরিবর্তে সামান্য শক্ত ও কঠোরতা থাকে। যাতে ব্যাধিগ্রস্ত অন্তরবিশিষ্ট লোক কণ্ঠের কোমলতার কারণে তোমাদের দিকে আকৃষ্ট না হয়ে পড়ে এবং তাদের মনে কুবাসোনার সঞ্চার না হয়।


✅[৩] অর্থাৎ, এই কর্কশতা ও কঠোরতা শুধু কণ্ঠস্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, অর্থাৎ মুখে এমন বাক্য আনবে না, যা অসঙ্গতো ও সচ্চরিত্রতার পরিপন্থী। إِنِ اتَّقَيْتُنَّ (যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো) বলে আল্লাহ তাআলা ইঙ্গিত করেছেন যে, এই কথা এবং অন্যান্য নির্দেশাবলী যা সামনে বর্ণনা করা হবে, তা মুত্তাক্বী নারীদের জন্য (যারা আল্লাহকে ভয় করে)। কারণ তাদেরই আশঙ্কা থাকে যে, যাতে তাদের আখেরাত বরবাদ না হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যাদের হৃদয় আল্লাহর ভয়শূন্য তাদের সাথে এই নির্দেশাবলীর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কখনোও এর পরোয়া করবে না।(তাফসীর আহসানুল বায়ান ৩৩/৩২)


✅এসব উপদেশ শুধু তাদের সাথে সীমাবদ্ধ নয় বরং সকল মু’মিন নারীদের জন্যই প্রযোজ্য। এখানে তাদেরকে বিশেষভাবে সম্বোধন করা হয়েছে তাদেরকে বিশেষ গুরুত্বারোপের জন্য। 


☝আল্লাহ তা‘আলা বলেন: 


(يٰنِسَا۬ءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَا۬ءِ) 


‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা কোনো সাধারণ স্ত্রীলোকের মতো নও’ অর্থাৎ মর্যাদা ও সম্মানে অন্যান্য সাধারণ মু’মিন নারীদের মতো নও, বরং তাদের অনেক ঊবের্ধ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: 


وَإِنَّ فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَي النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَي سَائِرِ الطَّعَامِ 


সকল নারীদের ওপর আয়িশা (رضي الله عنها) তেমন শ্রেষ্ঠ সারীদ (গোশতো ও রুটি দিয়ে তৈরি করা খাবার) যেমন অন্যান্য খাবারের ওপর শ্রেষ্ঠ। (সহীহ মুসলিম হা: ২৪৩০) তবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের মতো আরো অনেক স্ত্রী শ্রেষ্ঠ রয়েছেন। যেমন তিনি বলেন: অনেক পুরুষ পরিপূর্ণতার শিখরে পৌঁছেছে কিন্তু নারীদের মধ্যে কেবল মারইয়াম বিনতে ইমরান (ঈসা (عليه السلام)-এর মা) ও ফির‘আউনের স্ত্রী পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। (সহীহ বুখারী হা: ৩৪১১) 


☝এখন আল্লাহ তা‘আলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীসহ সকল মু’মিন নারীদেরকে কয়েকটি অবশ্য পালনীয় নির্দেশ প্রদান করছেন: 


✅(১) আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: (فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ) ‘কোমল কন্ঠে কথা বলো না’ 

অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীদেরকে সম্বোধন করে সকল মু’মিন নারীদেরকে বলছেন; যদি পর্দার অন্তরাল থেকে পর পুরুষের সাথে কথা বলার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে কোমল কন্ঠে কথা বলবে না, যদি বলো তাহলে যাদের অন্তরে কৃপ্রবৃত্তির ব্যাধি রয়েছে তারা আসক্ত হয়ে যাবে। বরং ন্যায়সঙ্গতোভাবে বলবে। মোট কথা নারীদের সম্মান রক্ষা ও পর পুরুষের কুপ্রবৃত্তি থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এ ব্যাবস্থা। (তাফসীর ইবনে কাসীর)🔚

Post a Comment

0 Comments