তাকবীরে তাশরীক।TAKBIR

 *তাকবীরে তাশরীক*


🌺তাকবীরে তাশরীকের আমল সারা বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য ৯ই যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ই যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত করা।তাই বাংলার মুসলমানরা ৯ই যিলহজ্ব *(শনিবার ফযর)* থেকে ১৩ই যিলহজ্ব *(বুধবার আসর)* পর্যন্ত এই আমলের এহতেমাম করবেন ইনশাআল্লাহ্!!


📚*তাকবীরে তাশরীক হলো:--⤵


*الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلاالله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد.*


✳*মাসআলা :০১) নয় যিলহজ্ব হতে তের যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব।


✴*মাসআলা :০২) প্রত্যেক ফরয নামাযের সালামের পর পরই কোনো কথাবার্তা বা নামায পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবীরে তাশরীক পড়তে হবে। 

তাকবীরে তাশরীক

✳*মাসআলা :০৩) তাকবীরে তাশরীক পুরুষের জন্য জোরে পড়া ওয়াজিব। আস্তে পড়লে তাকবীরে তাশরীক পড়ার হক আদায় হবে না। আর মহিলাগণ নিচু আওয়াজে অর্থাৎ নিজে শুনতে পায় এমন আওয়াজে পড়বে। *(রদ্দুল মুহতার ২/১৭৮; এলাউস সুনান ৮/১৫২)*


✴*মাসআলা :০৪) শুধু পাঁচ ওয়াক্ত ফরযের পর তাকবীরে তাশরীক পড়তে হবে। বিতরের পর এবং অন্য কোনো সুন্নাত বা নফলের পরে পড়ার নিয়ম নেই।

তাকবীরে তাশরীক

✳*মাসআলা :০৫) ইমাম তাকবীর বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদীগণ ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা তাকবীর বলবেন।


✴*মাসআলা :০৬) নয় তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে এবং ঐ কাযা এই দিনগুলোর ভিতরেই আদায় করলে সে কাযা নামাযের পরও তাকবীরে তাশরীক পড়বে।


✳*মাসআলা :০৭) হাজ্বীদের উপর ইহরাম অবস্থায় পূর্বোক্ত নিয়ম অনুযায়ী তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব।


📚তাকবীরে তাশরীক সংক্রান্ত মাসায়েলের জন্য দেখুন: *(রদ্দুল মুহতার ২/১৭৭-১৮০; ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আল বাহরুর রায়েক ২/১৬৪-১৬৫, তাহতাবী আলাল মারাকী ২৯৪)*


☝আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করেন। (আমীন..!)🔚

তাকবীরে তাশরীক

Post a Comment

0 Comments