*যে সকল আমল দ্বারা গোনাহ মাফ হয়*
🌙*রমযান মাস: দুই রমযানের মাঝের গোনাহ মিটিয়ে দেয়:*🌙
✅রমযান মাস আল্লাহ্ তা'আলার কাছে অনেক প্রিয় মাস। এ মাস কুরআনের মাস। এ মাস রোযার মাস। সিয়াম-কিয়াম, তিলাওয়াত-মুনাজাতে মুখরিত থাকে এ মাস। তাই আল্লাহর কাছে এ মাস অনেক প্রিয়। বছর ঘুরে যখন এ মাস আসে এবং বান্দা আমলে মনোযোগী হয়, যেমন গতো রমযানে হয়েছিলো তখন আল্লাহ্ তা'আলা দুই রমযানের মাঝের গোনাহ গুলো মাফ করে দেন।
গোনাহ মাফের আমল
📚হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো, তিনি বলেন, নবীজী *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বলতেন--⤵
*وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنّ إِذَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ.*
এক রমযান থেকে আরেক রমযান এর মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহের কাফফারা- গোনাহ মোচনকারী; যদি ওই ব্যাক্তি কবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে (ওই ব্যাক্তির যদি কবীরা গোনাহ না থাকে)। *[সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৩]*
❇উল্লেখ্য, এ প্রবন্ধের বর্ণনাসমূহে গোনাহ মাফ হওয়ার যে কথা রয়েছে, তার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সগীরা গোনাহ; কারণ, কবীরা গোনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হয় না।
গোনাহ মাফের আমল
🌙*রমযানের রোযা: গোনাহ পুড়িয়ে ছাই করে দেয়:*🌙
✅রমযান মাসে একদিকে বান্দা রহমতের বারিধারায় স্নাত হয়- প্রতি রাতে, প্রতি সকালে, সাহরীর মুহূর্তে, ইফতারীর মুহূর্তে; রহমত ঢেকে ফেলে বান্দাকে। অপরদিকে মাগফিরাতের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দেয় বান্দার সব পাপ। রোযা সব পাপ জ্বালিয়ে দেয়, ভস্ম করে দেয়। রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵
*مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.*
যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযান মাসের রোযা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। *[সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৮]*
গোনাহ মাফের আমল
🌙*রমযানে কিয়ামুল লাইল: পাপের অন্ধকার থেকে মুক্ত করে*🌙
✅রমযান মাসের আমলসমূহের মধ্যে কিয়ামুল লাইল অন্যতমো প্রধান আমল। তারাবী আর তাহাজ্জুদে কুরআন তিলাওয়াতের নূর নূরানী করে রাখে রমযানের রাত। সে নূরে স্নাত হয় বান্দার দেহ-মন। রাতের বিভিন্ন প্রহরে বান্দা দণ্ডায়মান হয় সালাতে, মশগুল হয় তিলাওয়াতে এবং সিজদাবনতো হয় মহান প্রভুর সামনে। তখন গোনাহের কথা স্মরণ করে বান্দা অশ্রুসজল হয়- রহমতের আশায়, মাগফিরাতের প্রত্যাশায়। আল্লাহ্ তা'আলাও তখন বান্দাকে ঢেকে নেন রহমতের চাদরে। মাফ করে দেন বান্দার গোনাহ-খাতা।
📚হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো, রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵
*مَنْ قامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.*
যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রাতে নামাযে দন্ডায়মান হয়, তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। *[সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৭]*
গোনাহ মাফের আমল
🌙*লাইলাতুল কদরে কিয়ামুল লাইল: পুণ্যের পাহাড় আর ক্ষমার দরিয়া:🌙*
✅লাইলাতুল কদর। ওয়ামা আদরা-কা মা- লাইলাতুল কদর। লাইতুল কদরের ফযীলতের বিশালতা কী বলে প্রকাশ করা যায়? এক রাতের বিনিময়ে আল্লাহ্ তা'আলা সওয়াব দান করবেন- হাজার রাতের নয়; হাজার মাসের চেয়েও বেশি। এ রাতের যদি আমরা কদর না করি তো আর কোন রাতের কদর করবো? এ এক রাতের তালাশে দশ রাত কেনো শতো রাতও তো কিছু না। এ রাতের কদরকারীর জন্য শুধু পুণ্যের পাহাড় নয়, ক্ষমার দরিয়াও। এখন প্রয়োজন শুধু কদর করার আর আমল ও ইস্তিগগফারের মাধ্যমে সে দরিয়ায় ¯ পাপমুক্ত হওয়ার। সালাত-তিলাওয়াতে যে বান্দা রাতটিকে সজীব করবে আল্লাহ্ তা'আলা তার পূর্বের সব গোনাহ মাফ করে দিবেন।
📚হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতো, রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵
*مَنْ قامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.*
যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে নামাযে দণ্ডায়মান হবে, তার পূর্ববতী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। *[সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০১]*
☝আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে মাফ করে দেন। প্রত্যেকের জন্য জান্নাতুল ফিরদাউস মঞ্জুর করেন। এবং উল্লেখিতো আলোচনা গুলোর উপর আমল করার খুব তাওফীক দান করেন। (আমীন..!)🔚
গোনাহ মাফের আমল
0 Comments