কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিধান কি।Money.

*কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিধান কি*

কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিধান কি


💸টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার পর মনের সংশয় দূর হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা করবে। তবে টাকার পরিমাণ ১০ দিরহাম বা তার বেশি হলে এক বছর ঘোষণা দেবে। ঘোষণাটি এমন স্থানে হতে হবে, যেখানে ঘোষণা দিলে তা মালিকের কাছে পৌঁছবে বলে প্রবল ধারণা হয়। বিশেষ করে যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো, সেখানে ঘোষণা দেওয়া উত্তম। কারণ সাধারণতো সম্পদ হারানোর পর সম্পদের মালিক সেখানেই খুঁজে থাকে, যেখানে সে তা হারায়। তারপর মানুষের সম্মিলনস্থলে যেমন- বাজার, মসজিদের দরজা; যখন মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হন, তবে মসজিদের ভেতরে ঘোষণা করা বৈধ নয়। কেনোনা মসজিদ ইবাদতের জন্য তৈরি হয়েছে; কুড়ানো বিষয়ের ঘোষণার জন্য নয়। এরপর যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় মালিক তা আর খুঁজতে আসবে না, তাহলে তা গরিবদের মাঝে সদকা করে দিবে। নিজে গরিব হলে প্রয়োজনে নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে যদি কোনো সময় মালিক এসে খুঁজে তাহলে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৬/৪৪৪, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া ৯/১৯৩ )

কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিধান কি

❇️উল্লেখ্য, কুড়িয়ে পাওয়া টাকা কোনো মসজিদে দান করা যাবে না। তবে মাদ্রাসার গোরাবা ফান্ডে জমা করে দেওয়া যাবে।


✍️নোট: কিন্তু আপনি যে পরিমাণ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছে তা 10 দিরহাম এর সমান হয় নাই। সুতরাং আপনার একবছর ঘোষণা করার প্রয়োজন হবে না আপনি কিছুদিন কিছু স্থানে ঘোষণা করার পর যে সময় আপনার দিলে সাক্ষী দিবে যে মূল মালিক পাওয়া আর সম্ভব নয় তাহলে আপনি গরীবকে মূল মালিকের তরফ থেকে সদক্বা করে দিবেন।🔚

কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিধান কি

Post a Comment

0 Comments