পেশাব পায়খানার জুলোম অবস্থায় নামাজ আদায় করাটা ঠিক কি।

*পেশাব পায়খানার জুলোম অবস্থায় নামাজ আদায় করাটা ঠিক কি*

পেশাব পায়খানার জুলোম অবস্থায় নামাজ আদায় করাটা ঠিক


প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরূহ। কেনোনা এতে নামাজের *খুশু-খুজু (একাগ্রতা) বিঘ্নিতো হয় এবং পরিপূর্ণ তৃপ্তির সঙ্গে হৃদয় মন নিবিষ্ট করে নামাজ আদায় হয় না। তাই এসব চাপ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ তৃপ্তি ও স্থীরতার সঙ্গে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।

পেশাব পায়খানার জুলোম অবস্থায় নামাজ আদায় করাটা ঠিক

📚হাদিস ও ফেকাহের কিতাবে প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন নামাজ দাঁড়িয়ে যায়- আর তোমাদের কারোও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয়; সে যেনো প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়। (*জামে তিরমিজি* ,*হাদিস- ১৪২*)


📘হজরত সাওবান রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতো এক হাদিসে এসেছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তির জন্য হালাল নয় কারও গৃহাভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীতো দৃষ্টিপাত করা...এবং কেউ যেনো প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ না পড়ে। (*জামে তিরমিজি, হাদিস- *৩৫৭; সুনানে *আবু দাউদ* , *হাদিস- ৯১)


📙হজরত নাফে রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, এক ব্যক্তি পেটে বায়ুর চাপ বোধ করে। তিনি বললেন, বায়ুর চাপ বোধ করা অবস্থায় সে যেনো নামাজ না পড়ে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস- ৮০২২)


📓উপরোক্ত হাদিস ও বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আরম্ভ করা মাকরূহে তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের মাঝে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরূহ। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজন শেষ করে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।


❇তবে হ্যাঁ, নামাজের ওয়াক্ত যদি এতো কম থাকে, যাতে প্রয়োজন সারতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাবে; তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নিবে।


🙌অবশ্য পর্যাপ্ত ওয়াক্ত থাকার পরও কোনো ইমাম বা একাকী নামাজ আদায়কারী যদি এ অবস্থায় নামাজ পড়ে নেয় তবে এমনটি করা মাকরূহ হলেও তাদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। পুনোরায় পড়া জরুরি নয়। তবে ভবিষ্যতে এরূপ করা থেকে বিরতো থাকতে হবে। (*রদ্দুল মুহতার: ১/৩৪১,* ৬৪৪)🔚

পেশাব পায়খানার জুলোম অবস্থায় নামাজ আদায় করাটা ঠিক


Post a Comment

0 Comments