পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ।the main causes of foreignness.

        পরকীয়ার সূচনা

পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ


*পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ।*


✅পরকীয়ার একটা বড় উদ্দেশ্য হলো ভোগ। ভোগ যে শুধু পুরুষ করে তা কিন্তু নয়। 

নারীও ভোগ করতে পছন্দ করে। সেকারণেই পরকীয়া শুধুমাত্র পুরুষের একচেটিয়া দখলে নেই। তবে যেহেতু পরকীয়া বিষয়টি গোপন ধরনের সেকারণে এনিয়ে এখনো আলাপ আলোচনা কম হয়। কিন্তু তাই বলে পরকীয়া তো বসে নেই.!⏬


👫স্বামী স্ত্রীর চাহিদাকে গুরুত্ব না দেওয়া। যেমন সময়, ভালো আচরণ ও শারীরিক সম্পর্কে প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া। স্ত্রী স্বামী’র চাওয়া পাওয়ার প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া। তাঁর মধ্যে হতে পারে স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার না করা, শারীরিক সম্পর্কে অস্বীকৃতি সহ স্বামীর যৌন কার্যে সাড়া না দেওয়া। এসব কারণ বিবাহিত নারী পরপুরুষ ও বিবাহিত পুরুষ পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। কেননা, একজন নারী কিংবা পুরুষ তাঁর কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে দিয়ে তাঁর প্রত্যাশা বা মনের চাহিদা পূরণ করতে না পারে তাহলে তাঁর বিপরীত কাউকে খুঁজে নেয়। *যেমন ধরুন*⏬

পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ

স্বামী_বিদেশ_থাকা 

 স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করে কোনো স্বামী যদি দীর্ঘদিন বিদেশে থাকে এবং একারণে কোন স্ত্রী জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে সেই ব্যভিচারিণী স্ত্রীর জন্য স্বামীও দায়ী থাকবে। স্ত্রীর অধিকার লংঘন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। অধিকাংশ স্ত্রীই হয়তো মুখ ফুটে কিছু বলবে না, তারপরেও খারাপ শোনা গেলেও একথাই সত্যি যে, অনেক প্রবাসীর স্ত্রী আসলে পরপুরুষের প্রতি আসক্ত বা পরকীয়ায় লিপ্ত। তাই বাস্তবতার কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন । ঘর আগুনে পুড়ে গেলে পরে আফসোস আর আফসোস করে কোন লাভ নেই। জীবন একটাই – যা করার ভেবে চিন্তেই করুন। আপনার ভুল সিদ্ধান্ত ও অবহেলার কারণে যেমন আপনার স্ত্রীর চরিত্র নষ্ট হবে, তার সাথে সাথে আপনার ও আপনার সন্তানদের ভবিষ্যতও নষ্ট হবে এমন ঘটনা বহু ঘটছে।⏬

✅অবাধ্য_স্ত্রী –বিয়ের পরে অনেক স্ত্রী নিজের অহংকারের কারণে স্বামীর আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং স্বামীর সাথে ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করা শুরু করে। স্বামী ঘরে যেই ভালোবাসা ও শান্তি পাওয়ার কথা সেটা থেকে বঞ্চিত হয়, তখন সে বাইরে সেটা তালাশ করে।⏬

পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ।

অত্যাচারী_স্বামী 

অনেক পুরুষ আছে যারা স্ত্রীদেরকে মানুষই মনে করে না, স্ত্রীর উপরে শারিরীক ও মানসিকভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আনন্দ পায়। এইরকম একটা পুরুষকে ভালোবাসা একটা মেয়ের জন্য উত্তপ্ত আগুনের কয়লা দিয়ে বানানো পোশাক পড়ার মতোই কঠিন। এরকম বহু নারী একটা সময় নারী লোভী অন্য পুরুষের পাল্লায় পড়ে। কতো যে নারী এইরকম এক শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আরো বডো় শয়তানের পাল্লায় পড়ে দুনিয়া ও আখেরাত বর্বাদ করছে।⏬


বেপর্দায়_চলাফেরা_করা

পরিপূর্ণ ইসলাম না মানার কারণে অনেকেই বিবাহিত জীবনে স্বামীর চেয়ে চাচাতো ফুফাতো স্বামীর ছোট ভাই- দেবরের সাথে অবাধ মেলামেশা করে। একসময় তাদের এই নষ্টামি মূলক আচরণে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায় । ভেঙে যায় অহরহ সোনার সংসার। প্রতিটা নিষ্পাপ শিশু হারায় তার বাবা-মাকে। এইরকম অনেক সত্যি ঘটনা আছে, বেপর্দা নারীদের সাথে মেশা ও গায়ের মাহরাম নারী ও পুরুষের ফ্রী মিক্সিং –কিভাবে জিনা-ব্যভিচার ও পরকীয়ার রাস্তাকে খুব সহজ করে দিয়েছে।⏬

পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ।

সহশিক্ষার_প্রভাব

বর্তমানে কলেজ ইউনিভার্সিটিতে জিনা-ব্যভিচার ও অবৈধ সম্পর্কে ব্যাপকতার প্রধান একটা কারণ হচ্ছে নারী ও পুরুষের সহশিক্ষা, সহাবস্থান ও বেশিরভাগ নারীদের বেপর্দা, অর্ধনগ্ন হয়ে চলাফেরা।⏬


স্ত্রীকে_সময়_না_দেওয়া

কর্ম ব্যস্ততা কিংবা স্ত্রী থেকে দূরে থাকার কারনে স্ত্রীর চাহিদা অনুযায়ী সময় দিতে পারেন না বলে তাঁর স্ত্রী একাকিত্ব বোধ করেন। ফলে তিনি গল্প গুজব করতে পারেন না। মনের কথা বা চিন্তা-ভাবনা স্বামীর সাথে শেয়ার করতে পারেন না। সুবিধাবাদী কিংবা ফাও খাওয়া পুরুষেরা এসুযোগটাকে কাজে লাগায়। তাঁরা এরূপ নারীদেরকে টার্গেট প্রথম নানান কলা-কৌশলে তাঁদের মনে জায়গা করে নেয়। একটি সময় এটি প্রেমে পরিণত হয় এবং এটি যৌন সম্পর্কে দিকেও গড়ায়।⏬

পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ।

স্বামীর_প্রতি_অবহেলা

এমনটি লক্ষ্য করা যায় বিবাহিত পুরুষদের মধ্যেও। তারাও স্ত্রীর অবহেলার স্বীকার হয়ে পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। কিংবা একটি নারী তাঁর সাথে উত্তম আচরণ করেছে, তাঁর কাজে উৎসাহিত ও উদ্দীপনা যোগিয়েছে, এতে করে ঐ পুরুষ ঐ নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে যায় যায়। এরপরে চলতে থাকে প্রেম, এমন কি যৌন সম্পর্কের দিকেও তা গড়াতে পারে। এসব বিষয় গুলো নারী পুরুষদের মনে নেশার মতো কাজ করে। তাঁরা কি করছে সেসব দিকে খেয়াল থাকে না। এসব থেকে তাঁরা সহজে বের হতে পারে না। অপর দিকে নিজেদেরকে একান্ত করে কাছে পাবার প্রবল আশঙ্কা মনে জাগে। তাঁদের মনের প্রবল আকঙ্খার পূরণের বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর ব্যক্তি বর্গকে হত্যাও করে ফেলে।⏬

☪একারণেই ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি অত্যান্ত কঠিন। ইসলামে হত্যার পরেই ব্যভিচারের শাস্তির অবস্থান। ইসলামে অবিবাহিত নারী পুরুষের ব্যভিচারের শাস্তি বেত্রাঘাত হলেও যদি কোন বিবাহিত নারী কিংবা পুরুষ বিবাহ করার পরেও অবৈধ প্রণয় বা সম্পর্ক গড়ে তুলে তাহলে তাঁর শাস্তি হচ্ছে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড দেওয়া।⏬


🔥কারণ যাই হোকনা কেন, আল্লাহর সাথে শিরক করার পর সবচাইতে বডো় একটা পাপ হচ্ছে – জিনা।🔚

পরকীয়ার প্রধান কিছু কার‌ণ।

Post a Comment

0 Comments