নারী ফেতনা
💫নারী ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার উপায়⬇
📚উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিতো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার গতো হওয়ার পরে পুরুষের পক্ষে নারীর চেয়ে অধিকতরো ক্ষতিকর কোনো ফিতনা অন্য কিছু ছেড়ে যাচ্ছি না।’’ [আহমাদ, বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ৭১২২, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ]
🌺জেনে রাখুন, এই জীবন মানেই হচ্ছে পরীক্ষা। এই পরীক্ষা খুব কঠিন এবং বিপদজনক। সেইজন্য চলার পথে সামান্য একটু অসতর্ক হলে কিংবা ছোটো একটা ভুলের কারণে অনেক সময় অনেক বড়ো বিপদ চলে আসে; যা মানুষ হয়তো কখনো কল্পনাই করতে পারেনা। সেইজন্য আমাদের উচিত সর্বদা সতর্ক থাকা এবং বিশুদ্ধ চিত্তে আল্লাহ অভিমুখী হয়ে বারবার তোওবা করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, (আমিন।)
নারীর ফেতনা
📘ইমাম ইবনে জাওজী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “নারী প্রেম ও নারী আসক্তির প্রায়শ্চিত্ত বিভিন্ন প্রকার। কখনো ভোগ করতে হয় সঙ্গে সঙ্গে কখনো দেরিতে, কখনো প্রকাশ পায় কখনো তা প্রকাশ পায় না। আবার এর কিছু শাস্তি রয়েছে যা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারে না। তবে সব চেয়ে বড়ো শাস্তি হচ্ছে,
👉আল্লাহকে ভুলে যাওয়া ও ঈমান বিলুপ্ত হওয়া।
👉নারী আসক্তি ও গুনাহের কারণে অন্তর মরে যায় যার ফলে সে আল্লাহর সঙ্গে মুনাজাতের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম হয় না।
👉পবিত্র ক্বুরআন তার অন্তরে অবস্থান করে না।
👉ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) সহ অন্যান্য ইবাদত তার কাছে অর্থহীন মনে হয়।
👉আরো অনেক ধর্মীয় অবক্ষয় রয়েছে, যা তাকে আস্তে আস্তে গ্রাস করে নেয়, যা সে নিজে অনুধাবনও করতে পারে না।
👉তার অন্তরের দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃতো হয় গুনাহের অন্ধকার।
নারীর ফেতনা
👉নষ্ট হয়ে যায় তার অন্তর দৃষ্টি, যার প্রভাব পড়ে তার শরীরেও। যেমন, চোখের দৃষ্টি চলে যায়, স্বাস্থ্যের অবোনতি ঘটে ইত্যাদি।”
🍁তাই অন্তরের মধ্যে গুনাহের আসক্তি উপলব্দি করার সাথে সাথে তওবা করা উচিৎ, হয়তোবা এর দ্বারা আসন্ন বিপদ দূরীভূত হয়ে যাবে।” [জাম্মুল হাওয়াঃ ২১৭]
❇যাই হোক, যেই সমস্ত দ্বীনি ভাইয়েরা প্রেম নামক বিষাক্ত ভাইরাসের শিকার হয়ে দ্বীন ও দুনিয়া হারাতে বসেছেন, তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত কিছু উপদেশ।
✅আপনি যদি এই মুহূর্তে বিয়ে করার জন্য উপযুক্ত ও প্রস্তুত থাকেন তাহলে দুই নং পয়েন্ট থেকে দেখুন। আর আল্লাহ নির্ধারিতো তাক্বদীরের ফয়সালা অনুযায়ী যদি এই মুহূর্তে আপনার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রেম-ভালোবাসা, অবৈধ যোগাযোগ ও সম্পর্ক থেকে তোওবা করুন। গায়ের মাহরাম নারীদের সাথে সমস্ত যোগাযোগ, কথা-বার্তা, দেখা-সাক্ষাত বন্ধ করুন। নিজেকে নিয়ন্ত্রন ও আত্মশুদ্ধির জন্য বেশি বেশি নফল রোযা রাখুন। নেক আমল ও ইলম অর্জনে মনোযোগী হন। আত্মশুদ্ধি ও পবিত্রতা অর্জনের জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি ও দুয়া করুন। বেশি বেশি নফল ইবাদত ও ক্বুরআন তিলাওয়াত দ্বারা আত্মাকে শান্ত ও পবিত্র রাখার চেষ্টা করুন।
✅আপনার পক্ষে যদি বিয়ে করা সম্ভব হয় আর মেয়ে যদি বিয়ে করার মতো নূন্যতমো দ্বীনদার ও সচ্চরিত্রের হয়ে থাকে তাহলে ইস্তিখারা সালাত পড়ে মেয়ের বাবা বা বৈধ গারজেনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। মেয়ের বাবা যদি বিয়ে দিতে রাজী হয় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ বলে দেরী না করে শরীয়ত সম্মতো পদ্ধতিতে বিয়ের আয়োজন করুন।
✅মেয়ের বাবা যদি রাজী না হয়, তাহলে সেখান থেকে ফিরে আসুন। ধৈর্য্য ধারণ করুন আর আল্লাহর কাছে দুয়া করুন, এই মেয়েকে বিয়ে করা যদি আপনার ভাগ্যে লিখা না থাকে, অথবা এই মেয়েকে বিয়ে করা যদি আপনার জন্য অকল্যাণকর হয় তাহলে আপনার অন্তর থেকে এই মেয়ের প্রতি ভালোবাসা আল্লাহ যেনো দূর করে দেন। আপনার নেককার জীবন সংগিনীর জন্য দুয়া করুন। আর খেয়াল রাখবেন, প্রেমিকার সাথে কোনো ধরণের যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না। এতে আপনাদের দুইজনের দ্বীন ও দুনিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হবে।🔚নারীর ফেতনা
0 Comments